1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরো র‌্যাব কর্মকর্তা জড়িত

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪

নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে খুনের ঘটনায় আরো র‌্যাব সদস্য জড়িত বলে তদন্তে বেরিয়ে আসছে৷ র‌্যাবের আরো এক সদস্য পূর্ণেন্দু বালাকে আটকের পর শনিবার আটদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ৷ তিনি র‌্যাব ১১-তে এসআই হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন৷

https://p.dw.com/p/1D88v
শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশ উদ্ধারের পর স্বজনদের আহাজারিছবি: DW

শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফের আদালতে র‌্যাব সদস্য পূর্ণেন্দু বালাকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ৷ রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত তাঁকে আট দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন৷ এর আগে শুক্রবার দুপুরে তাঁকে আটক করা হয়৷

নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে খুন ও লাশ গুমের ঘটনায় এপর্যন্ত র‌্যাব ১১-র আটজন গ্রেপ্তার হয়েছেন৷

প্রথম দফায় গ্রেপ্তার হন র‌্যাব ১১-র সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানা৷ এ তিনজনই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন৷

এরপর ২৬ আগস্ট র‌্যাবের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তাঁরা হলেন হাবিলদার মো. এমদাদুল হক, ল্যান্স নায়েক মো. বেলাল হোসেন ও হিরা মিয়া এবং সেপাই আবু তৈয়ব আলী ও মো. আরিফ হোসেন৷ এঁদের মধ্যে এমদাদ ও আবু তৈয়ব বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি), আরিফ নৌবাহিনীর এবং ল্যান্স নায়েক মো. বেলাল হোসেন ও হিরা মিয়া আনসার বাহিনীর সদস্য৷

র‌্যাবের এই পাঁচ সদস্য আদালতে দাবি করেছেন, সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা ও লাশ গুম করতে র‌্যাব ১১-র শীর্ষ তিন কর্মকর্তা তাঁদের বাধ্য করেছিলেন৷

গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়৷ এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ জানায়, আলোচিত এই মামলায় এখন ১৫ জন কারাগারে আছেন৷ তাঁদের মধ্যে র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা ছাড়াও মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের সহযোগী চার্চিল ও আলী মোহাম্মদ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন৷ আর অপহরণ ও খুনের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নয় জন৷ তাঁদের মধ্যে র‌্যাবের ছয় সদস্যও আছেন৷

সাত খুনের ঘটনায় জড়িত বা প্রত্যক্ষ্যদর্শী হিসেবে র‌্যাবের ২৩ সদস্যকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ২৩ সদস্যকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ৷ তাঁদের ১৮ জনকে আসামি করা হতে পারে৷ বাকিরা এ মামলার সাক্ষী হতে পারেন৷

এদিকে মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ভারতে আটক করা হয়েছে৷ তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে৷

শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া র‌্যাবের এসআই পূর্ণেন্দু বালা গত এপ্রিলে কাউন্সিলর নজরুলসহ সাতজনকে অপহরণ করে হত্যার সময় র‌্যাব ১১-র হয়ে নারায়ণগঞ্জে কর্মরত ছিলেন৷

৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সাতজনের লাশ উদ্ধারের দুই দিনের মাথায় ২ মে তিনি ১০ দিনের ছুটিতে গিয়ে আর কাজে যোগ দেননি৷ পূর্ণেন্দু বালাকে ফার্মগেটের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য